সাম্প্রতিক

আমি মানুষ



ছদ্দবেশেও মানুষ আমি
স্ব-বেশেও মানুষ
বাঘের মুখোশে ভয় দেখালেও
আমি মানুষ
কবি হয়ে কবিতা লিখলেও
আমি মানুষ
পথিক হয়ে পথ চলেও আমি মানুষ
আনন্দের আতিশয্যেও আমি মানুষ
কষ্টের বোঝা কাঁধে নিয়েও
আমি মানুষ

 
চিৎকার করে বললেও আমি মানুষ
না বললেও আমি মানুষ

সন্ধ্যে বেলায় ঘরে ফিরলেও আমি মানুষ
রাত্রি দ্বি-প্রহরে পথে পথে ঘুরলেও
আমি মানুষ
ছন্ন ছাড়া ভবঘুরে জীবনেও আমি মানুষ
সংসার সাগরে দুঃখ ভেলা বয়েও
আমি মানুষ
শত মানুষের ভীড়ে মিশে থেকেও
আমি মানুষ


তবুও -
মানুষ হওয়ার ব্যাকুলতায় আমি মানুষ
চিৎকার করে বললেও আমি মানুষ
না বললেও আমি মানুষ



(২১/০৯/২০১৪ – রাত ২ টা ৩০ মিনিট)

ছোট খাটো



এক পশলা বৃষ্টি
একটি ছাতা,
অল্প একটু জায়গা
দুইটি মাথা,


কাঠ ফাঁটা রোদ
এক চিলতে মেঘ,
অল্প একটু ছায়া
আনন্দের আবেশ।



(২৭/০৮/২০১৪ – রাত ১১ টা ২৫ মিনিট)

তোমাকে ধন্যবাদ



এতটা আঘাত করার প্রয়োজন ছিল না
অনেক দুর্বল ছিল-
ক্ষানিক বাদে এমনিতেই মরে যেত
সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না
হেটে যাওয়া তো অনেক পরের ব্যাপার
 

যাই হোক-
ওদের কথা বলে লাভ নেই
ওরা দুর্বল
ওরা নিপীড়িত
বেঁচে থাকার অধিকার অতি নগণ্য
তাই তো এতটা আঘাত করেছে
মরে গেছে
 

হয়তো বাঁচতো আরো কয়েকটা দিন
কষ্টের বোঝা মাথায় নিয়ে
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখতো
সুখের বৃষ্টির অঝর ধারা
কষ্টের ডায়েরীতে আরো কয়েক পাতা লিখে
এক সময় মরেই যেত
সুখকে ছোঁয়ে দেখা হতো না কখনই


ভালই হয়েছে
মরে গেছে
লাঞ্চনা আর ঘৃনায়-
বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল
কষ্ট করে আর কষ্টের জীবন নিয়ে বাঁচতে হল না
মুক্ত করে দিয়েছ
তাই-
ধন্যবাদ তোমাকে


(৩০/০৭/২০১৪ – সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট)

ক্লান্তির হাহাকার



প্রখর রৌদ্রের প্রতাতে তপ্ত রাজপথ
হেটে হেটে ক্লান্ত
থুতনী বেয়ে টপ টপ করে গড়িয়ে পরছে
কপালের ঘাম
সুর্য যেন উজার করে বিলিয়ে দিচ্ছে
তার সকল উত্তাপ
ঘামের ফোঁটায় ঝরে পরছে
ক্লান্তির হাহাকার



(১৩/০৫/২০১৪ – রাত ১২ টা ৫৫ মিনিট)

নৈশব্দ সুরের মুর্ছনা



শব্দহীন মুহুর্ত গুলোর পদচারনায়
মুখরিত জীবন
অন্তরীক্ষে-
দুঃখ জাগানীয়া নৈশব্দ সুরের মুর্ছনা
স্পন্দিত হয় হৃদয়
কাঁদায়, হাসায়
আবার কখনো স্তব্ধ হয়ে যায়
ছন্দের মিল নেই
তবুও-
ছন্দের খেলা চলে
অদ্ভুদ জীবন
তবুও-
সময়ের ভেলায়
বয়ে চলে
 


(২০১৪)