অনুকাব্য – ১৫
ছুঁয়ে থাকা সবুজে বন্ধুত্বের আহ্বান
বন্ধু ছাড়া মিছে আনন্দের অভিযান।
অনুকাব্য – ১৪
এখন তোমার অমাবশ্যায়
জোছনার বান,
দুধের মাছি আমি আর
নাই বা হলাম।
অনুকাব্য – ১৩
ঘুমন্ত শহর
মনে হয় যেন মৃত্যুপুরী,
জাহান্নামে ঘুমাই
আর স্বপ্নে দেখি সুখনগরী।
অনুকাব্য – ১২
আমার শূণ্যতা জুড়ে খেলা করে
এক জীবন্ত প্রজাপতি,
অদ্ভুত মোহমীয়তায় ভরে রাখে
সে অপরূপ মায়াবতী।
অনুকাব্য – ১১
স্বাগত সুর্য আমায় ডেকে যায়
সোনালী আভায়,
ফিরিয়ে দিয়েছি তারে আমি
অহং বোধের মুর্খতায়।
অনুকাব্য – ১০
আর কত রক্ত শ্রোতে ভাসব আমরা
আর খালি হবে কত মায়ের কোল,
আর দিতে হবে কত শহীদ কবরে
শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুল।
অনুকাব্য – ৯
যখন দেখি দূরে, বহু দূরে
আমার জীবনের শেষ, 
পরে আছে শুধু নিঃষ্প্রান দেহ
শেষ হয়ে সব মায়াজাল
সব সম্পর্কের রেশ।
অনুকাব্য – ৮
কিসেরও লাগিয়া, তুমি কাঁদো গো আসিয়া
আমারও দুয়ারে,
যাও গো, তাহারে দাও অনন্ত ভালবাসা
যে আছে তোমার পথ পারে।
অনুকাব্য – ৭
আমি পেয়েছি এক আকাশ নিঃসঙ্গতা
সহস্র রাত্রির নিস্তব্ধতা,
ঘিরে রাখে আমায়
অনুভুতি কাতর কিছু দুঃখ ব্যাথা।
অনুকাব্য – ৬
বাধিসনে আর মায়ার ডোরে
ছেড়ে দে এবার যেতে দে রে
তোর মায়া থেকে অনেক দূরে
আজ আমি ডুবেছি হতাশায়
তোর মায়া আমাকে করেছে
নিঃস অসহায়।
অনুকাব্য – ৫
কোথায় যেন ফেলে এসেছি
আমার ছোট্ট পাখি,
অবহেলা আর অযতনে
বারে বারে ওঠে ডাকি।
অনুকাব্য – ৪
শেষ বিকেলের রোদ
যদি এসে পরে আমার জানালায়,
একবার ছুঁয়ে দেব তারে
স্বাগত গোধুলী বেলায়।
অনুকাব্য – ৩
মুখ লুকিয়ে সুর্য হাসে
নিঃসীম নীলিমায়,
মেঘের আব্রু আড়াল করে
লজ্জা নাহি পায়।
অনুকাব্য – ২
হারিয়ে গিয়েছে আমার আধার
মহা আঁধারেরও অতল তলে, 
খোঁজে ফিরি তারে রাত্রি নিশিথে
দৃষ্টির অন্তড়ালে।
অনুকাব্য – ১
তোমার চোখে নীলাচল পাহাড়
আমার দু’চোখে বৃষ্টি,
কবিতার মাঠে লেগেছে খরা
লুপ্ত কবির কৃষ্টি।
