যখন নিভৃতচারী তুই
সুখের দুর্নিবার মোহে মুহ্যমান,
সময় তখন যোজন দূরে
আশার আলোয় ম্রিয়মান।
ব্যস্ততা দেখি,
মানুষের ব্যস্ততা
যন্ত্রের ব্যস্ততা।
অনুকাব্য – ২৮
বিনি সুতোয় মালা গাঁথতে
দিলি মনের ভাগ,
মনের দামে কিনে নিলি
সাত কলঙ্কের দাগ।
অনুকাব্য – ২৭
গল্প হলেও সত্যি
জীবনের গল্প,
অল্প হলেও বিশদ
কবির কাব্য।
অনুকাব্য – ২৬
ম্রীয়মান ছিল মৃন্ময়ীর
হাসি
মৃত্তিকায় উজ্জ্বল সরোবর,
উন্মাতাল ঢেউয়ে তরঙ্গ তোলে
নিথর প্রস্তর।
অনুকাব্য – ২৫
আমার কথা মনে হলে
ব্যস্ততাকে কবর দিস,
অল্প কিছু কথা লিখে
মাঝে মাঝে খবর নিস।
অনুকাব্য – ২৪
স্বর্ণ যুগের পিছুটানে
মায়ার হাতছানি,
হৃদয়ের কুড়েঘরে চলে
স্মৃতির হানাহানি।
অনুকাব্য – ২৩
হোক না কল্প,
তবু -
তোকে নিয়েই রচিব আমার
নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প।
অনুকাব্য – ২২
তুই আর আমি
আমি আর তুই,
ইচ্ছে হলেই স্বপ্নে দেখি
ইচ্ছে হলেই ছুঁই।
অনুকাব্য – ২১
ব্যস্ততার জঞ্জালে ভরা এই
যন্ত্রপুরে
চারিদিকে শুনি সময়ের হাহাকার।
অনুকাব্য – ২০
চাওয়া না পাওয়ার
দুঃখ নিনাদে কন্ঠধ্বনি,
বারে বারে থেমে যায়
আঁধারের ডাক শুনি।
অনুকাব্য – ১৯
আমার খোলা আকাশ
তোমার সুর্য স্নানে প্রীত হয়,
তবু আমি সুখি নই
তবু তুমি আমার নও।
অনুকাব্য – ১৮
বৃষ্টি তোমার চোখের
তারার
আঁকে অদৃশ্য ছবি,
দু’চোখ ভরে দেখব আমি
নির্ঘুম প্রজাপতি।
অনুকাব্য – ১৭
স্বপ্নগুলো মনের কোণে
জায়গা হারায়,
ইচ্ছেগুলো জীবন পথে
স্বপ্ন খুঁজে বেরায়।
অনুকাব্য – ১৬
নিশ্চুপ মন হাহাকার করে
এদিক সেদিক যায়,
সামনে বার্ধক্য পেছনে তারুণ্য
বর্তমান খুঁজে না পায়।