সাম্প্রতিক

মনের মতো



যে জল নদীর মতো

সে জলে স্নান করব,

যে কথা কবিতার মতো

সে কথার সুধা পান করব,

যে কষ্ট মনের মতো

সে কষ্টের হাত ধরে পথ চলব,

যে আঁধার রাতের মতো

তার সাথে কথা বলব,

যে আলো জোছনার মতো

সে আলোয় গা ভেজাব,

যে মানুষ তোমার মতো

তার সাথে ঘর বাঁধব।



যে আমি আমার মতো

তার কি হবে... ...?


(২৩/০৩/২০১১ – রাত ৩ টা ১১ মিনিট)

অনুকাব্য সমগ্র - ৩


অনুকাব্য – ৪২

একটি ল্যান্ডক্রুজার
আর গাড়ি তিনেক প্রহরী,
কষ্টে রইলো
হাজার হাজার পথচারী।



অনুকাব্য – ৪১

দেখি
মানুষ দেখি
রঙ বেরঙের মানুষ



অনুকাব্য – ৪০

সময়ের হাত ধরে নিরবে পথ চলে
কেটে গেল অনেক সময়,
জানি তুমি আসবে না হাতে হাত রাখবে না
হবে না সময় আর মধুময়।


অনুকাব্য – ৩৯

সোনালী রোদের স্নিগ্ধ আভায়
তুমি কাঁদো
তোমার কান্নার জলে ভেসে যাক
সব শুভ্রতা


অনুকাব্য – ৩

এখানে সময় কাটে
মুহুর্ত মুহুর্ত করে,
প্রতিটি মুহুর্ত একেকটি গল্প
একেকটি সহস্র পাতার উপন্যাস।


অনুকাব্য – ৩

সূর্য ডুবে চাঁদ উঠেছে
অমন হাসি হাসল কে,
হাসির রঙে ফুল ফুটেছে
নতুন রাগে বাজল যে।


অনুকাব্য – ৩

এমন হাসি দেখিনি কতদিন
ঝলমলে সোনালী রোদে
পদ্ম যেমন হাসে


অনুকাব্য – ৩৫

তুইও খুঁজিস আমিও খুঁজি
কিন্তু জানি না হয়তো ভিন্ন পথে,
বিপরীতমূখী গতিপথে ক্রমবর্ধমান দুরত্ব
উপহাসে মুচকি হাসে।


অনুকাব্য – ৩৪

স্বপ্ন নিয়ে নয় বিশ্বাস নিয়ে
মুহুর্ত গুলোর করুন আর্তনাদ
পদদলিত করি
নিশ্চিত বিজয়ের অপেক্ষায়


অনুকাব্য – ৩৩

ছন্দ হারায়
তোর কাব্য কাননে,
বিহঙ্গ সুখ লভিতে চায়
নিঃসীম নীলিম আলিঙ্গনে।


অনুকাব্য – ৩২

রাজকন্যার জোছনার সাধ
আমি পাতি সূর্যে হাত।



অনুকাব্য – ৩১

নিশুতি রাতে
আঁধারের রথে,
তারা হয়ে ছুটে চলি
তারাদের পথে।


অনুকাব্য সমগ্র - ২



অনুকাব্য – ৩০ 


যখন নিভৃতচারী তুই
সুখের দুর্নিবার মোহে মুহ্যমান,
সময় তখন যোজন দূরে
আশার আলোয় ম্রিয়মান।


অনুকাব্য – ২৯

ব্যস্ততা দেখি,
মানুষের ব্যস্ততা
যন্ত্রের ব্যস্ততা। 



অনুকাব্য – ২৮

বিনি সুতোয় মালা গাঁথতে
দিলি মনের ভাগ,
মনের দামে কিনে নিলি
সাত কলঙ্কের দাগ।



অনুকাব্য – ২৭

গল্প হলেও সত্যি
জীবনের গল্প,
অল্প হলেও বিশদ
কবির কাব্য।



অনুকাব্য – ২৬

ম্রীয়মান ছিল মৃন্ময়ীর হাসি
মৃত্তিকায় উজ্জ্বল সরোবর,
উন্মাতাল ঢেউয়ে তরঙ্গ তোলে
নিথর প্রস্তর



অনুকাব্য – ২৫

আমার কথা মনে হলে
ব্যস্ততাকে কবর দিস,
অল্প কিছু কথা লিখে
মাঝে মাঝে খবর নিস।



অনুকাব্য – ২৪

স্বর্ণ যুগের পিছুটানে
মায়ার হাতছানি,
হৃদয়ের কুড়েঘরে চলে
স্মৃতির হানাহানি।



অনুকাব্য – ২৩

হোক না কল্প,
তবু
তোকে নিয়েই রচিব আমার
নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প।



অনুকাব্য – ২২

তুই আর আমি
আমি
আর তুই,
ইচ্ছে
হলেই স্বপ্নে দেখি
ইচ্ছে
হলেই ছুঁই


অনুকাব্য – ২১

ব্যস্ততার জঞ্জালে ভরা এই যন্ত্রপুরে
চারিদিকে শুনি সময়ের হাহাকার।



অনুকাব্য – ২০

চাওয়া না পাওয়ার
দুঃখ নিনাদে কন্ঠধ্বনি,
বারে বারে থেমে যায়
আঁধারের ডাক শুনি।


অনুকাব্য – ১৯

আমার খোলা আকাশ
তোমার সুর্য স্নানে প্রীত হয়
তবু আমি সুখি নই
তবু তুমি আমার নও



অনুকাব্য – ১৮

বৃষ্টি তোমার চোখের তারার
আঁকে অদৃশ্য ছবি,
দু’চোখ ভরে দেখব আমি
নির্ঘুম প্রজাপতি


অনুকাব্য – ১৭

স্বপ্নগুলো মনের কোণে
জায়গা হারায়,
ইচ্ছেগুলো জীবন পথে
স্বপ্ন খুঁজে বেরায়।


অনুকাব্য – ১৬

নিশ্চুপ মন হাহাকার করে
এদিক সেদিক যায়,
সামনে বার্ধক্য পেছনে তারুণ্য
বর্তমান খুঁজে না পায়।

আমায় মুক্তি দাও, হে ব্যস্ততা



আমার স্বপ্নহারা নীল আকাশ
স্বপ্ন খুঁজি পথে প্রান্তরে
কাঠ ফাঁটা রোদে শুকিয়ে গেছে স্বপ্ন
ক্ষুধায় তৃষ্ণায় জীর্ণ শীর্ণ
মৃত প্রায় স্বপ্ন
বাস্তবতার আঘাতে


ঘুরে ফিরে সামনে আসে
স্বপ্নবাজ শৈশবের সোনালী রোদ্দুর
আদিগন্ত বিস্তৃত স্বপ্নের মাঠ
চঞ্চলা নদীর ঢেউরের স্বপ্নের ভেলা
রঙ্গীন কাগজে মোড়া -
চোখ জোড়া যেন স্বপ্নের কারখানা


আর একবার ফিরে পেতে চাই
সেই সোনালী শৈশব
সেই স্বপ্নের মাঠ ঘাট আর নদী
আবার ফিরে পেতে চাই
সেই রঙ্গীন কাগজে মোড়া স্বপ্নের কারখানা
 

আমি আরো একবার-
উন্মুক্ত চাঁদের আলোর রূপালী আভায়
মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে উড়তে চাই

আমায় মুক্তি দাও
হে ব্যস্ততা
আমায় মুক্তি দাও।



(১১/০১/২০১৫ – রাত ৮ টা ২০ মিনিট)

অনুকাব্য সমগ্র - ১


অনুকাব্য – ১৫

ছুঁয়ে থাকা সবুজে বন্ধুত্বের আহ্বান
বন্ধু ছাড়া মিছে আনন্দের অভিযান।



অনুকাব্য – ১৪

এখন তোমার অমাবশ্যায়
জোছনার বান,
দুধের মাছি আমি আর
নাই বা হলাম।



অনুকাব্য – ১৩

ঘুমন্ত শহর
মনে হয় যেন মৃত্যুপুরী,
জাহান্নামে ঘুমাই
আর স্বপ্নে দেখি সুখনগরী।



অনুকাব্য – ১২

আমার শূণ্যতা জুড়ে খেলা করে
এক জীবন্ত প্রজাপতি,
অদ্ভুত মোহমীয়তায় ভরে রাখে
সে অপরূপ মায়াবতী।



অনুকাব্য – ১১

স্বাগত সুর্য আমায় ডেকে যায়
সোনালী আভায়,
ফিরিয়ে দিয়েছি তারে আমি
অহং বোধের মুর্খতায়।



অনুকাব্য – ১০

আর কত রক্ত শ্রোতে ভাসব আমরা
আর খালি হবে কত মায়ের কোল,
আর দিতে হবে কত শহীদ কবরে
শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুল।



অনুকাব্য – ৯

যখন দেখি দূরে, বহু দূরে
আমার জীবনের শেষ,
পরে আছে শুধু নিঃষ্প্রান দেহ
শেষ হয়ে সব মায়াজাল
সব সম্পর্কের রেশ।



অনুকাব্য – ৮

কিসেরও লাগিয়া, তুমি কাঁদো গো আসিয়া
আমারও দুয়ারে,
যাও গো, তাহারে দাও অনন্ত ভালবাসা
যে আছে তোমার পথ পারে।



অনুকাব্য – ৭

আমি পেয়েছি এক আকাশ নিঃসঙ্গতা
সহস্র রাত্রির নিস্তব্ধতা,
ঘিরে রাখে আমায়
অনুভুতি কাতর কিছু দুঃখ ব্যাথা।



অনুকাব্য – ৬

বাধিসনে আর মায়ার ডোরে
ছেড়ে দে এবার যেতে দে রে
তোর মায়া থেকে অনেক দূরে
আজ আমি ডুবেছি হতাশায়
তোর মায়া আমাকে করেছে
নিঃস অসহায়।



অনুকাব্য – ৫

কোথায় যেন ফেলে এসেছি
আমার ছোট্ট পাখি,
অবহেলা আর অযতনে
বারে বারে ওঠে ডাকি।



অনুকাব্য – ৪

শেষ বিকেলের রোদ
যদি এসে পরে আমার জানালায়,
একবার ছুঁয়ে দেব তারে
স্বাগত গোধুলী বেলায়।



অনুকাব্য – ৩

মুখ লুকিয়ে সুর্য হাসে
নিঃসীম নীলিমায়,
মেঘের আব্রু আড়াল করে
লজ্জা নাহি পায়।



অনুকাব্য – ২

হারিয়ে গিয়েছে আমার আধার
মহা আঁধারেরও অতল তলে,
খোঁজে ফিরি তারে রাত্রি নিশিথে
দৃষ্টির অন্তড়ালে।



অনুকাব্য – ১

তোমার চোখে নীলাচল পাহাড়
আমার দু’চোখে বৃষ্টি,
কবিতার মাঠে লেগেছে খরা
লুপ্ত কবির কৃষ্টি।